নিউজ সোনারগাঁ টোয়েন্টিফোর ডটকম: একদিকে মশা অন্যদিকে রাস্তার ধুলাবালি ও ভারী বহনের চাপে যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সোনারগাঁও পর্যটক এলাকা। এছাড়া বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর এর সামনে রাস্তার উপরে ফুটপাত বসিয়ে আরো দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুন। এ কারনে প্রতিদিনই লেগে থাকে তীব্র যানজট। বিশেষ করে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা কোন পদক্ষেপ নেওয়ার না নেওয়ায় দিনে দিনে বাড়ছে কৃত্রিম যানজট।
দিঘীর পাড় এলাকার বাসিন্দা কবি এস এ জগৎ শাকিল জানান, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা হতে পানাম নগর পর্যন্ত পৌরসভাার ভিতর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের অনুমতি না থাকলেও কয়েকটি প্রভাবশালী কোম্পানি বৈদ্যেরবাজার এলাকায় ইকোনোমিক জোন তৈরি করেছে। ইকোনমিক জোনের কয়েকশত ভারী যানবাহন প্রতিদিন পৌরসভার ভেতর দিয়ে চলাচল করে। এছাড়া বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনেরর পাকিংয়ের সামনে রাস্তার উপরে স্থানীয়রা ফুটপাত তৈরি করে দোকান বসিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে এলাকাবাসী। দেশ-বিদেশ থেকে ঘুরতে আসা লোকজন এ ফুটপাতগুলোতে জিনিসপত্র কিনতে রাস্তা উপর দাড়িতে হয়। এতে গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। গত দুই বছর আগে যানজটের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন মুল ফটকের সামনে একটি সরকারী জায়গা দখল মুক্ত করে। কিন্তু স্থানীয়রা সে খালী জায়গায় দোকান বসিয়ে ফের সরকারী জায়গাটি দখল করে নিচ্ছে। এতে ভারী যানবাহন মোড় ঘুরতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের চোখের সামনে এ অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রতিদিনই পৌরবাসীকে অসহনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে পৌরসভার রাস্তাগুলোতে ধুলোবালি কমাতে পানি না ছিটানোর কারণে ধুলোবালিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে পৌরবাসী। এতে সাধারণ মানুষ দিনে দিনে এলার্জিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া প্রশাসনের হস্থক্ষেপ না থাকায় প্রতিদিনই পৌরসভায় বাড়ছে অবৈধ অটোরিক্সা। আর এ রিক্সাগুলো যারা চালায় তারা কেউই প্রশিক্ষিত না। এতে ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে ছোটখাটো দূর্ঘটনা ও যানজট। ধুলোবালি ও যানজট থেকে রক্ষা পেতে উপজেলা প্রশাসন ও পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।